রায়হান কবির নিলয়ঃ
কোন ছবি পছন্দ হলেই তা মোবাইল ফোনে ধারণ করে তানভীর হাসান শারুফ। এরপর রঙ-তুলি দিয়ে তা আঁকেন। তার আঁকা ছবি দেখে কেউ হয়তো মনে করবে, চিত্রাংকনের উপর পড়াশুনা আছে। তবে স্নাতকে অধ্যায়নরত শারুফ জানান, এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোন বিদ্যা নেই তার। স্রেফ শখের বশে আর মনের টানে আঁকাআঁকির পথে হাঁটা।
শারুফ পেন্সিল স্কেচ, আর রং-তুলির ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পচার্য জয়নুল আবেদীনের হাতে গড়া বাংলাদেশ লোক ও কারু শিল্প যাদুঘরটি। শুধু তাই নয় বাংলার প্রকৃতি, মানুষের জীবন সংগ্রামসহ অনেক কিছুই স্থান পেয়েছে তার তুলির আঁচড়ে। তাঁর আঁকা চিত্র বিমোহিত করবে যে কাউকেই।
তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মোবাইলে তোলা ছবি, বা ফটোগ্রাফ দেখে রং-তুলির আচড়ে স্কেচে ফুটিয়ে তুলতে পারেন ছবির অবয়ব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেসব ছবি শেয়ার করার পরই অনেকে আবার নিজের ছবি আঁকিয়ে নিচ্ছেন স্মৃতি সংরক্ষণে। বিনিময়ে কিছু পারিশ্রমিক পান তিনি।
তিনি জানান, আমার একটি শৈল্পিক মন। তাই তো মনের মাধুরী মিশিয়ে কাজ করতে পারি। একটু রঙের ছোঁয়া, একটু তুলির আঁচড় দিতে চেষ্টা করি। আমার ছবি আঁকার শুরুর সময়টা হয়তো অনেক আগেই। কাগজে দাগ কাটতে কাটতে, আঁকিবুঁকি করতে করতে, তুলিতে রং ছোঁয়াতে ছোঁয়াতে কেমন করে যেন আঁকতে শুরু করেছিলাম। সেই শুরু! তারপর বিভিন্ন মাধ্যমে অসংখ্য ছবি এঁকেছি। বেশ কিছু বইয়ের প্রথম মলাট আমার আকা ছবিতেই হয়েছে, যার মধ্যে ইচ্ছে প্রকাশনীর, ‘আমার কবিতা’ আমার শহর। মৌনতা।
অনলাইনে অনেকে অর্ডার করে ছবির জন্য চেষ্ঠা করি তাদের ছবি একে দিতে। দেয়ালেও নানা কারুকাজ করেন তিনি বলে জানান।
বয়সে তরুন এই যুবক, ফতুল্লার হাজী মিসির আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার বিবিএস তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়ণরত আছে। পেশা হিসাবে ছবি আঁকাকে বেঁছে না নিতে পারলেও নেশা হিসাবে বেঁছে নিয়েছেন এটিকে। ছোট্ট খাটো ছবি আকাঁর মাধ্যমে যে প্রারিশ্রমিক পাচ্ছে তা দিয়ে মোটামুটি হাত খরচ চলে যায় তার। পাশাপাশি স্থানীয় ইক্বরা আদর্শ বিদ্যানিকেতন নামক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ড্রয়িং টিচার হিসাবে শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
তবে পরিবারের ছোট ছেলে শারুফ চিত্রকর্মকে পুরোদমে পেশা হিসাবে বেছে নিতে চাইলেও বাস্তবতার কারনে সে সাধ বাদ দিয়েছেন। যদিও নিজের আঁকা ছবি নিয়ে অনেক দুর এগিয়ে যেতে চান ।